টাঙ্গাইলে ঘুষ নেওয়ার সময় বনবিভাগের ৩ কর্মচারীকে আটক করলো দুদক
কাঠ বোঝাই ট্রাক থেকে ঘুষ নেয়ার সময় বনবিভাগের ২ প্রহরী ও এক শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টাঙ্গাইল অফিসের এনফোর্সমেন্ট টিম। গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আরিফ সাদেক জানান, টাঙ্গাইল জেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরম্নদ্ধে কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চেকপোস্ট পার হওয়া বাবদ ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই ভিত্তিতে দুদকে টাঙ্গাইল অফিসের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি আরো জানান, অভিযান পরিচালনার সময় ছদ্মবেশে থাকা দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম টাঙ্গাইল বনবিভাগের ২ জন প্রহরী ও ১ শ্রমিককে কাঠ বোঝাই ট্রাক থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার জিম্মায় দিয়ে আইনি ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগকারী, কাঠ ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকদের উপস্থিত বক্তব্য নেয়। যার ভিত্তিতে দুদক টিম জানতে পারে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত্ম থেকে তারা কাঠ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকা অভিমুখে নিয়মিত চলাচলকালে বন বিভাগ থেকে টিপি বা ট্রানজিট পাস নিতে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেন হয়।
আবার সেই টিপি বা ট্রানজিট পাস নিয়ে টাঙ্গাইলের করটিয়া চেকপোস্টে দেখালে কাঠের ট্রাক পরীক্ষান্ত্মে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। যার জন্য কাঠের মান ভেদে ১৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত্ম ঘুষ প্রদান না করলে ছাড়পত্র দেয়া হয় না।
এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে তদন্ত্ম প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও সূত্রে থেকে জানা যায়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ২ বন প্রহরীকে ইতোমধ্যেই বরখাস্ত্ম করা হয়েছে। এ ছাড়াও জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।