৮ বছর যাবৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি নুরু অবশেষে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের হাতে গ্রেফতার।
৮ বছর যাবৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচার জন্য এনআইডি প্রস্তুত না করে এবং ভিন্ন নাম নাজমুল হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে পলাতক থেকেও রক্ষা পেল না পলাতক আসামী নুরম্ন। অবশেষে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের হাতে গ্রেফতার।
যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলর্ যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ১৯৯৪ সালের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নুরু (৬৫), পিতা- মৃত আব্দুল আলী ঠান্ডু, সাং- কাঞ্চনপুর সাকনাইর চর, থানা- বাসাইল, জেলা- টাঙ্গাইল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সূত্রাপুর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে,র্ যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ১৩/০১/২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী নুরম্নকে গ্রেফতার করেন। উলেস্নখ্য যে, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মামলা নং-০৪(২)৯৪, জিআর- ১১৫(২)৯৪, যা একটি হত্যা মামলা। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত, টাঙ্গাইল ১৫/১০/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ উক্ত আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। উক্ত মামলা বিচার চলাকালীন সময় থেকেই আসামী নুরম্ন পলাতক ছিলেন।
উক্ত আসামী যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে বাঁচার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি না করে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর থানাধীন এলাকায় ০৮ বছর যাবৎ আত্মগোপনে ছিলেন। উক্ত এলাকায় তিনি নিজেকে নাজমুল নামে পরিচিত করেছেন। আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রথমে অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার প্রকৃত নাম ঠিকানা নুরম্ন(৬৫), পিতা- মৃত আব্দুল আলী ঠান্ডু, সাং- কাঞ্চনপুর সাকনাইর চর, থানা- বাসাইল, জেলা- টাঙ্গাইল হিসেবে স্বীকার করে।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে গ্রেফতারী সাজা ওয়ারেন্ট মূলে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
কোম্পানী অধিনায়কর্ যাব-১৪ সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্র অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।র্ যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত্ম মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র,ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্ত্মারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষ্ম হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।