কালিহাতীর হালদিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে পাশ্ববর্তী গ্রামের মুসল্লীরা ১ কিলোমিটার হেটেএসে খতম তারাবীহ পড়ছেন
গৈ-গেরামে সর্বোচ্চ ৯০ পরিবারের সমাজে খতমে তারাবীহ। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন বংড়া ইউনিয়নের হালদিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে পাশ্ববর্তী প্রায় ১ কিলোমিটার দুরের গ্রামের মুসল্লীসহ তারাবীহ পড়ছেন। রবিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত্রীতে ৮টায় এশার জামাত শুরু হয়। তারাবীহ ও বেতেরসহ নামাজ শেষ হয় রাত ৯•৪০ এ। ইসলামী ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় এখানেও ৪র্থ তারাবীতে ৬ পারা কোরআন খতম হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খতম তারাবীহ পড়াচ্ছেন সম্মানীত হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও সম্মানীত হাফেজ শাহাদাত হোসেন। উক্ত মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। হালদিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহসী ও ধর্মভীরু সৈয়দ তারেক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মিন্টু। সাহসী পরিচালনা কমিটি বলার কারণ হৃত-দরিদ্র এলাকা মাত্র ৯০টি পরিবার নিয়ে হালদিয়া পশ্চিম পাড়া সমাজ। সেই সমাজের মসজিদে খতমে তারাবীহ পড়ার জন্য সুদূর সিরাজ গঞ্জ থেকে ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলাধীন পাকুটিয়া থেকে হাফেজদ্বয় এনেছেন।
পাশ্ববর্তী বাংড়া গ্রামে প্রাচীন ভদ্রলোকের বাসস্থান। ফজিলত পূর্ণ মাসে বেশী নেকীর আশায় কিছুসংখ্যক ধর্মভীরু মুসলমান প্রায় ১ কিলোমিটার পথ হেঁটে প্রতিরাত্রে হালদিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে তারাবীহ নামাজে শরীক হচ্ছেন খতম কোরআন তিলাওয়াত এর বোনাস নেকীর আশায়।
বিজ্ঞাপন
যে সকল মুসুল্লিরা প্রায় ১ কিলোমিটার হেটে এসে কোরান খতম তারাবির নামাজ পরছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবসরপ্রাপ্ত বেতার চালক (পুলিশ) সৈয়দ রফিকুল ইসলাম(৬৫), হাফেজ সৈয়দ নূরুন্নবী হোসেন (রজত) যিনি ঢাকা চাকুরী করেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে বাংড়া নিজ বাড়ী এসে রাত্রে গ্রামের দুটি মসজিদ ফেলে রেখে ১ কিলোমিটার হেঁটে খতমে তারাবীহ পড়তে যান। সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ (৫৫) প্রতিরাত্রে নিজ গ্রামের মসজিদে সূরা তারাবীহ রেখে ১ কিলোমিটার হেঁটে খতমে তারাবীহ পড়তে যান। মো: সামসুল মোল্লা বাংড়া গ্রাম থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার হেঁটে খতমে তারাবীহ পড়তে দেখা যায়। বাংড়া গ্রামের যুবকদের মধ্যে সৈয়দ ইমন, সৈয়দ আসাদের বড় ছেলে বা আরো অনেকেই হালদিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে খতমে তারাবীহ পড়তে দেখা যায়। সরোজমীনে এ দীর্ঘ মেয়াদী নামাজে বৃদ্ধ ও শিশু অংশ গ্রহন ২০ রাকাআত শেষ অবধি সালাদ আদায় করে। ঐ মসজিদ সংলগ্ন বৃদ্ধের মধ্যে অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা (৬৮) সুলতান গিয়াসকে প্রথম কাতারে নিয়মিত নামজ পড়তে দেখা যায়।
সৈয়দ আহসান হাবীব সবুজ