মাকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ছেলে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩ এর হাতে গ্রেফতার।
বাদশা মিয়া (৫৫) কে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কান্দাইল এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
বিজ্ঞাপন
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ১৯৯৬ সালের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার চাঞ্চল্যকর ছেলে কর্তৃক মাকে হত্যা মামলার ২৭ বছর যাবত পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী বাদশা মিয়া @ আলী আকবর (৫৫), পিতাঃ- হাসমত আলী, সাং- কালোহা, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাঙ্গাইলকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কান্দাইল এলাকা হতে অদ্য ২ এপ্রিল ২০২৩ ইং খ্রি: আনুমানিক রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামী বাদশা মিয়ার সাথে তার ছোট বোন কহিনুর বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ছিল। উক্ত বিষয় নিয়ে বাদশা মিয়ার সাথে কহিনুর বেগমের প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বাড়ির উঠানে বাদশা মিয়ার সাথে তার ছোট বোন কহিনুর বেগমের ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে কহিনুর বেগমকে উঠানে ফেলে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে গেলে তাদের মা উক্ত ঘটনায় নিহত তমিরন নেছা বাদশা মিয়াকে থামানো উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা বাঁশ কেড়ে নেন। তখন উঠানে থাকা একটি ধারালো দা দিয়ে বাদশা মিয়া তার ছোট বোন কহিনুর বেগমকে কোপ দিতে গেলে তাদের মা কহিনুর বেগমকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে উঠানে পড়ে থাকা কহিনুর বেগমের উপর ঝাপিয়ে পড়েন। তখন বাদশা মিয়া কর্তৃক দা দিয়ে উপর্যুপরি কোপ তাদের মায়ের শরীরে লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং কহিনুর বেগম গুরুত্বর আহত হন। উক্ত ঘটনার পর থেকেই বাদশা মিয়া পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে প্রথমে ঢাকা মহনগরের বাড্ডা এবং পরবর্তীতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কান্দাইল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।হত্যা কান্ডের ঘটনায় বাদশা মিয়াকে একমাত্র আসামী করে টাঙ্গাইল জেলায় কালিহাতি থানার মামলা নং- ০৬(০৯) ৯৬, ধারা- ৩০২/৩২৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হলে বিচার শেষে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালত, টাঙ্গাইল উক্ত আসামীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন।
বিজ্ঞাপন
উক্ত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে কালিহাতি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যা¤প কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জঙ্গিবাদ, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, প্রতারকচক্র, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। আগমিতেও এধরণের অভিযান চলমান থাকবে।