টাঙ্গাইল কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু
টাঙ্গাইল কারাগারে লাল মিয়া (৩৮) নামে এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাল মিয়া বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইলের জেল সুপার মকলেছুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।জেল সুপার জানান, লাল মিয়া অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭ টায় তার মৃত্যু হয়। আইনী পক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
বিজ্ঞাপন
একই মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মো. শামছু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজাকে আমৃত্যু দন্ড এবং রেজাউলের স্ত্রী আলো বেগম, বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুন বাসাইল উপজেলার কাউলজানী গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে তার ভায়রাকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং শ্যালিকাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদন্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে। এরআগে ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাসাইলের কাউলজানী গ্রামের আবু বক্কর ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। তিনদিন পর পাশের মহেশখালী গ্রামের জমির আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভূঁইয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এ হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, শ্যালিকা আলো বেগমসহ আরো কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৮ জন এই রায় দেন বিচারক।