টাঙ্গাইল চাঞ্চল্যকর বিষপান করিয়ে হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩
টাঙ্গাইল চাঞ্চল্যকর বিষপান করিয়ে হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩টাঙ্গাইল জেলার কালিহতি থানার চাঞ্চল্যকর হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা মামলার পিতা-পুত্রসহ প্রধান তিনজন আসামীকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানাধীন বোর্ড বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
বিজ্ঞাপন
২মে ২০২৩ খি: রাত অনুমান : ০৩:১০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার চাঞ্চল্যকর আপন চাচাতো ভাই কর্তৃক জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা মামলার আসামী পিতা-পুত্র এজাহারনামীয় তিন জন পালাতক আসামী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এর গাছা থানাধীন বোর্ড বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞাপন
আসামীরা হলেন ১ নং আসামী মকবুল হোসেন (৫০), পিতা- মৃত নয়ন উদ্দিন; ২ নং আসামী শরিফ (৩০), পিতা- মকবুল হোসেন; ও ৫ নং আসামী মনির (৪৫), পিতা- মৃত জাবেদ আলী, সর্বগ্রাম- সীমাকাছড়া পালিমা, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাঙ্গাইল।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, বসত বাড়ীর জমি ও শ্যালো মেশিন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রæতার জেরে ধৃত আসামীগণসহ মোট ১১/১২ জন মিলে গত ২৭/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৩:০০ ঘটিকা হতে ০৪:০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানাধীন সীমাকাছড়া পালিমা গ্রামে জনৈক ইকবাল হোসেন এর বৈদ্যুতিক পানি সেচের মর্টার ঘরের উত্তর পাশে জনৈক ইসমাইল হোসেন এর ধানী জমিতে উক্ত ঘটনায় নিহত আবুল হোসেন (৫৬) কে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরবর্তীতে তিনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় নিহত আবুল হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার মামলা নাম্বার- ১৩, তারিখঃ ২৮/০৪/২০২৩ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
উক্ত এজাহার নামীয় আসামীদের সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে কালিহাতি থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যা¤প কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম ২ মে মঙ্গলবার দুপুর ০২:০০ ঘটিকায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জঙ্গিবাদ, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, প্রতারকচক্র, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। সন্ত্রাস, জঙ্গী, মাদক মুক্ত দেশ গরতে সকলের অংশগ্রহণের আহবান ও জানান তিনি।