সংবিধানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই – কাদের সিদ্দিকী
কালের বার্তা অনলাইন ডেক্স :সরকারের সাম্প্রতিক নির্বাচন ব্যবস্থা অনেকটা ভালো উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিদ্যমান আইনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলে সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরও ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করবেন, নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন । সরকারের সকল কর্মকর্তারা ইসির অধীনে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামি জাতীয় সংবদ নির্বাচনে কোনো জোটে যাবো কি না জানি না। তবে বিএনপির সাথে কোনো নির্বাচনী জোটে যাবেন না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি সব সময় গণমানুষের পক্ষে বা ন্যায় সংগত কারণে পক্ষে কথা বলে থাকি। তত্বাবধায়ক সরকার বলে পৃথিবীর কোথাও কোনো সরকার নেই।
কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইন আর না পারলে সবটাই বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন। এখন দেখতে হবে বিএনপি যদি ততত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারে তাহলে দেশে তত্বাবধায়ক সরকার আবার হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) অধীনেই নির্বাচন হবে- এর কোন বিকল্প আপাতত নেই।
মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তী বঙ্গবীর বলেন, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তাচ্ছিল্য করে কথা সমিচীন নয়- এটা কোনো সভ্যতা নয়। আবার একজন বয়স্ক নেতাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলাও ভালো না। আমাদের স্বাভাবিক হওয়া উচিত। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে আমরা অস্বাভাবিক হচ্ছি এবং আমাদের মান মর্যাদা নিজেরাই ক্ষুন্ন করছি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম তার টাঙ্গাইলের বাসভবন ‘সোনার বাংলা’য় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।বঙ্গবীর বলেন, আমেরিকার কোন মতেই এই ভিসা নীতি এই মুহূর্তে করার কোনো মানে হয় নাই। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দরকার পড়লে যাবো না সাত সাগরের ওপার। অনেকে এ কথার সমালোচনা করেছেন। যে কোন সরকার তার ইচ্ছেমত ভিসা দেয়। আমাদের প্রতিবেশি ভারত দুইজনে দরখাস্ত করলে রোগীকে ভিসা দেয় আর তার সঙ্গে যে থাকেন তাকে দেয় না। এটা তাদের ইচ্ছেমত এবং পৃথিবীর সব দেশই নিজেদের ইচ্ছেমতই ভিসা দেয়। বাইরের লোকেরা যে আমাদের দেশে আসে, আমাদের অ্যাম্বেসীগুলোও ওই একই কাজই করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসানীতি নিয়ে কোন কথা থাকতো না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারণে। আমি মনে করি এই ভিসার যে কড়াকড়ি বা জাতীয় নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে ভিসা দেওয়া হবে না, তার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না।
বিজ্ঞাপন
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক।