বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর ০৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী র্যাব-১৩ এর হাতে গ্রফতার।
গত ০১ জুন ২০২৩ তারিখ অভিযুক্ত আসামী মাঃ রফিকুল ইসলাম রফিক (২০) ভিকটিমস্কুলে যাওয়ার পথে চকলেট দওয়ার কথা বলে একটি পরিত্যাক্ত টিনর ঘরে ডেকে নিয়ে যায় এবং জােরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বিজ্ঞাপন
ভিকটিম চিৎকার করতে থাকলে আসামী ভিকটিমকে ছেড়ে দেয় এবং নিজে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ভিকটিমকে গাইবান্ধা জেলার উপজলা স্বাস্থ্য কমপক্সে ভর্তি করে। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উনত চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল রফার্ড করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম মা বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার সুদরগঞ্জ থানায় ০২/০৬/২০২৩ ইং তারিখ এজাহার দায়ের করেন, যার মামলা নং-০২, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের সংশাধনী ২০০৩; ৯(১)। ঘটনাটি স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ধর্ষক গ্রেফতার এড়াতে পালিয় আত্মগােপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
গােপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এবং এবং র্যাব-১২, সিপিসি-৩, বগুড়া যৌথভাবে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার কৃত আসামি মাঃ রফিকুল ইসলাম রফিক (২০), গাইবান্ধা জেলার -সুদরগঞ্জ থানাধীন কালিরখামার (চুলিপাড়া) এলাকার মাঃ ফিরাজ মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মাঃ রফিকুল ইসলাম রফিক (২০) উপরাক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পক্ততার কথা স্বীকার করছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে গাইবান্ধা জেলার সুদরগঞ্জ থানায় হস্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৩, রংপুর এর অধিনায়কর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লফটন্যাট মাহমুদ বশির আহমদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশর সার্বিক আইন শখলা পরিস্থিতিতি সমুনত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্র অগ্রণী ভমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘাষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। ভবিষ্যতে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।