মধুপুর থানার চাঞ্চল্যকর রোকসানা (২০) ধর্ষণের ফলে গর্ভপাতত ভ্রুণ হত্যা ও গর্ভবর্তী মায়ের মৃত্যু ঘটানো মামলার প্রধান আসামী ও প্রধান সহযোগী র্যাবের হাতে গ্রেফতার।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ও সিপিসি-০১, জামালপুর ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার চাঞ্চল্যকর রোকসানা (২০) ধর্ষণের ফলে গর্ভজাত ভ্রুণ হত্যা ও গর্ভবর্তী মায়ের মৃত্যু ঘটানো মামলার প্রধান আসামী ও প্রধান সহযোগীকে জামালপুর জেলার মাত্তারবাড়ি বালুয়াটা এবং জামালপুর সরিষাবাড়ী পৌরসভাধীন হেলথ কেয়ার ডায়াগনোস্টিক এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ও সিপিসি-০১, জামালপুর ক্যাম্প এর যৌথ একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার চাঞ্চল্যকর রোকসানা (২০) ধর্ষণের ফলে গর্ভজাত ভ্রুণ হত্যা ও গর্ভবর্তী মায়ের মৃত্যু ঘটানো মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী ১। পলাশ মাত্তা (২০), পিতা মোঃ উজ্জল মাত্তা, সাং- বালুরচর (বালুয়াটা মাত্তাবাড়ি), থানা ও জেলা , জামালপুরকে জামালপুর জেলাধীন মাত্তাবাড়ি বালুয়াটা এলাকা হতে গত ২৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ১৬.০৫ ঘটিকায় এবং প্রধান সহযোগী ২। মোঃ সুজন মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ আঃ আজিজ, সাং- চকহাট বাড়ি, থানা- সরিষাবাড়ী, জেলা- জামালপুরকে সরিষাবাড়ি পৌরসভাধীন হেলথ কেয়ার ডায়াগনোস্টিক এলাকা হতে গত ২৭/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অনুমান বিকাল ১৮:৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, অত্র মামলার ভিকটিম মৃত রোকসানা (২০) বাদীর বড় মেয়ে। বিগত ৩-৪ বছর পূর্ব প্রেমের সর্ম্পকে জের ধরে একই থানাধীন কলাবাধা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে রাজ্জাক মিয়ার সহিত বিবাহ দেন। সেখানে ৩ মাস সংসার করার পর মিল না হওয়ায় ভিকটিমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে রোকসানা বাবার বাড়িতে অবস্থান করে লেখাপড়া ও চুমকী গাথুনি করে টাকা পয়সা আয় করে আসতেছে। ভিকটিম জামালপুর জেলার দিগপাইত রহিমা মোজাফ্ফর স্কুল এন্ড কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে। পড়াশোনা ও পরীক্ষা দেওয়ার সময় বিবাদী মোঃ পলাশ মাত্তা ভিকটিমের সহিত প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম অন্তঃসত্তা হলে লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে না বলে আসামী পলাশকে অবহিত করে বিবাহের কথা বলিলে আসামী পলাশ গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আসামী সুজন ভিকটিমের গর্ভপাত করার জন্য পরিকল্পনা করে। এমতাবস্থায় গত ২৫-০৬-২০২৩ খ্রিঃ তারিখে আনুমানিক রাত ২০০০ ঘটিকার আসামী সুজন মিয়া গর্ভপাত ঘটনোর জন্য ভিকটিমকে ভুল বুঝিয়ে দুই জন অপেশাদার সেবিকা সালেহা আক্তার এবং তার বোন ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাধীন ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। একই তারিখ রাত ২১০০ ঘটিকার সময় আসামী সালেহা আক্তার ও তার বোন ফাতেমা সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহায়তায় ভাড়া বাসার ০১টি কক্ষ অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভে থাকা ভ্রুণকে হত্যা করে। গর্ভপাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ভিকটিমকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। পরবর্তীতে এই লাশ নেয়ার সময় টাঙ্গাইল শদর থানার পুলিশের সন্দেহ হলে সাথে থাকা নার্স এবং সহযোগীদের আটক করেন তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ আরো বেড়ে গেলে তাদের মধুপুর থানায় হস্তান্তর করেন সে সময় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠান। মধুপুর ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে মামলা করেন। ভিকটিম এর মা হাসপাতাল মর্গের সামনে আমাদের প্রতিবেদকের কাছে কে বা কার সাথে সম্পর্ক ছিলো সে ভালো যানেনা বলে জানান। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান আমরা জেনেছি আমরা মুল আসামি সনাক্ত করার চেষ্টা করছি বলে জানান। মামলা হাওয়ার পর থেকেই র্যাব ১৪ সিপিসি ৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সিপিসি ১ এর যৌথ অভিযানে মুল আসামী গ্রেফতার হয় এবং এই মামলার মুল রহস্য উদঘাটন হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আঃ রাজ্জাক বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানায় ০১টি ধর্ষণ ও হত্যা রুজু করে। যাহার ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) তৎসহ ৩০২/৩১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
বিজ্ঞাপন
উক্ত এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে মধূপুর থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যা¤প।কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।