টাঙ্গাইল বাসাইলে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা মটর সাইকেলের ধাক্কায় ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু।
সাগর আহামেদ ঃ- টাঙ্গাইল বাসাইলে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফারজান(৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইল ০৭ই জুলাই ( শুক্রবার) সন্ধ্যায় বাসাইলের ফুলকি ইউনিয়নের নেদার গ্রামের বাদল মিয়ার ছোট মেয়ে তার নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় পাশের গ্রামের প্রবাসী আনিসের ছেলে প্রান্তর (১৮) বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ডিসকাভার মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে৷ এ সময় স্থানীয়রা ফারজানাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং প্রান্তকে তার মোটরসাইকেল সহ আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে৷ ফারজানার মাথায় গুরুতর আঘাতের কারনে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে৷ পরবর্তীতে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে হত্যার দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে৷ ময়না তদন্তের শেষে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, প্রান্ত তার বন্ধুদের সাথে আরো ৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো৷ এ সময় হটাৎ করে শিশু ফারজানা তার মোটরসাইকেলের সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশুটিকে ধাক্কা মারে৷ এলাকা বাসী জানান ছেদের আবদার পুরন করতে প্রতিনিয়তই বাবা- মা ছেলেকে দিচ্ছে মটর বাইক কিনে। উড়তি বয়সের ছেলেরা লাগাম হিন ভাবে বেপরোয়া গতিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাতে বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক আইন না মেনেই রেস করে মোটরবাইক চালাচ্ছে প্রতিনিত, ফলে মাঝেমধ্যে দূর্ঘটনার কবলে পারে অকালে জীবন হারাচ্ছে কেড়েও নিচ্ছে অন্যের জীবন। কাজেই প্রত্যেক বাবামাকে সচেতন হতে হবে। ছেলেকে মোটরবাইক কিনে দেয়ার আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে হবে।
সরকারের শুভদৃষ্টি থাকতে হবে এবং এ ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে তাহলেই এই সমস্যা দূরকরা সম্ভব।