র্যাব-১৩ এবং ৩ এর যৌথ অভিযানে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনর ভিডিও ভাইরাল মামলার ০৪ আসামী গ্রফতার
র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর বিভিন তথ্য উপাত্ত পর্যালাচনা করে গাপন সংবাদের ভিত্তিতে ০২ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ র্যাব র সহযোগিতায় ঢাকা মহানগরীর টিকাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্ণাগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার কৃত আসামিরা হলেন মাঃ মিলন মিয়া (৩৫) লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন লতাবর এলাকার মৃত জমশর আলী ছেলে। আসামি ২, মাঃ লিমন মিয়া (২৫) একই এলাকার মাঃ এনতাজ আলীর ছেলে। আসামি ৩। মাঃ রবিউল ইসলাম (৩০) রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানাধীন জমচড়া এলাকার নজির আলীর ছেলে। আসামি ৪। মাঃ মিস্টার (৩৫) রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার মডিকল পূর্ব গইট এলাকার মৃত সবুর রহমান এর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
আসামিগন পরস্পর যােগসাজসে মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপকর্মের সাথে জড়িত। উক্ত আসামীরা ভিকটিমকে তাদর মাদক পারাপার ও পরিবহনের কাজে নিয়াজিত করার জন্য বলে এবং ভিকটিম তাতে অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাব ভিকটিমকে ১নং আসামী মাঃ মিলন মিয়ার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে আটক করে। আসামীগণ আবদ্ধ ঘরে ভিকটিমকে লােহার পাইপ দ্বারা এলাপাতাড়ি আঘাত করে জখম করে এবং উলঙ্গ হতে বাধ্য করে। অতঃপর আসামীগণ বর্বরচিতভাবে ভিকটিমরে নগ্ন ছবি ও ভিডিও তাদের মােবাইল ফানে ধারণ ও সংরক্ষণ করে। ভিকটিম আসামীদর মাদক কারবারে সহযাগিতা না করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং নগ ছবি ও ভিডিও সামাজিক যাগাযাগ মাধ্যম ছড়িয়ে দেয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় নীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত ০৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি পর্ণাগ্রাফি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৭, তারিখ-৩০/০৭/২০২৩ খ্রিঃ,ধারা-পর্ণাগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১)(২)(৩) ৫(ক) তৎসহ ১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩০৭/৫০৬(২) পনাল কাড ১৮৬০।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার পর পরই আসামীরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগাপন করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগণ ভিকটিমের নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ পূর্বক সামাজিক যােগাযাগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদেরকে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লফটন্যাট মাহমুদ বশির আহমদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি জানান র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শখলা পরিস্থিতি সমুনত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষত্রে অগ্রণী ভমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘাষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।
তারিখঃ ০৩/০৮/২০২৩ খ্রিঃ।