রংপুর পীরগাছা থানায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উম্মাচন পরিকল্পনাকরী এবং মূলহত্যাকারী র্যাবের হাতে গ্রফতার।
গত ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাত্রী অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকায় রংপুর জেলার পীরগাছা থানাধীন ব্রাক্ষনিকুন্ডা¯ হাজী কৃষি খামারর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভিকটিম শের আলী(৪৫) এর মরদহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সষ্টি হয়। বিভিন সূত্র এবং স্থানীয় লােকজনের মাধমে জানা যায় যে, ধৃত আসামী টাকার লােভে,অন্যের প্ররাচনায় এবং ভেজালি জমি ক্রয়কে কেদ্র করে ভিকটিমকে অপহরণ করেন। তারপর ভিকটিম শের আলীকে অপহরণপূর্বক অমানবিক নির্যাতনসহ ধারালা অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে এবং পেটের নাড়ি-ভূড়ি বের করে হত্যা নিশ্চিত করে। যাহা উক্ত মামলার এজাহার বর্ণিত আসামীগণের নাম ভিত্তিহীন। পরবর্তীত ভিকটিমের বড় ভাই নিজে বাদী হয়ে গত ১৯ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ আসামীদের রিরুদ্ধে রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫, তারিখ-১৯/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩৪২/৩৬৫/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কােড ১৮৬০। ঘটনার পর পরই আসামীরা বিভিন্নস্থানে আত্মগােপন করে। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
উল্লখ্য যে, গত ২৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখ ১৬.৩০ ঘটিকায় নারায়নগঞ্জ জেলার সানারগাঁও থানাধীন কাচপুর উত্তরপাড়া হতে ক্লুলেস আসামী মূলহত্যাকারী মাঃ আদম আলী (৫৮)’কে গ্রফতার এবং গত ০৩ জুন ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর ১২.২০ ঘটিকায় শ্রী কমল (৪৬)’ক রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন শঠিবাড়ি বাজার এলাকা হতে গ্রফতার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর বিভিন তথ্য উপাত্ত পর্যালাচনা করে গােপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদ্বয়ের জবানবন্দির ভিত্তিতে গত ২৪ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ ভাের ০৩.৪৫ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন ছাবর্তা এলাকা হতে একই চাঞ্চল্যকর ক্লুলস হত্যা মামলার আসামী মাঃ লাভলু মিয়া (৪১), পিতা-মাঃ মজিবর রহমান, সাং-কালিগঞ্জ, থানা-পীরগাছা, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করন।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম শের আলী (৪৫)কে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়ছে।
সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লফটন্যাট মাহমুদ বশির আহমদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থকই দশর সার্বিক আইন শৃখলা পরিস্থিতি সমুনত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘােষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।