টাঙ্গাইলে শিশু সামিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারী গ্রেফতার করেছে পুলিশ
মো: তাইজুল ইসলাম( টুটুল) : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়া নিজ বাড়ি হতে শিশু সামিয়া (৯) প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকায় দাড়িয়াপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রাইভেট পড়া শেষ হলে একই তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় শিশু সামিয়া বাড়িতে ফিরে না আসলে তার বাবা মা সহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজন শিশু সামিয়াকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। খোজাঁখুজির এক পর্যায়ে একই দিন সকাল ১০:২৪ ঘটিকায় শিশু সামিয়ার বাবার ব্যবহৃত imo আইডিতে একটি ভয়েজ মেসেজ আসে যে, তার মেয়ে সামিয়াকে অপহৃরণ করা হয়েছে এবং ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। এতদ সংক্রান্তে সখিপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৭-০৯-২০২৩ খ্রি. ধারা-নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৮/৩০ রুজু হয়। ঘটনাটি স্থানীয় দৈনিক, জাতীয় পত্র পত্রিকায় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যপকভাবে প্রচারিত হলে এই হত্যার ঘটনাটি বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ মামলা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার এক পর্যায়ে ইং ০৮সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকায় সখিপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর সাকিনস্থ মামলার বাদীর বাড়ি হতে ০১ কিঃ মিঃ উত্তর-পশ্চিম দিকে জনৈক হেলাল এর ধান ক্ষেতের দক্ষিণ পাশের ড্রেনে কেফারচালা আকাশী বাগানের উত্তর পাশে শিশু সামিয়া আক্তার (০৯) এর লাশ কাদা-মাটি দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
উক্ত মামলার ঘটনাটি লোমহর্ষক এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), টাঙ্গাইল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার জন্য ডিবি, টাঙ্গাইল ও সখিপুর থানা পুলিশ এর সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।
বিজ্ঞাপন
মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তির অবস্থান সনাক্ত পূর্বক আসামী ০১। মোঃ সাব্বির মিয়া (২১), পিতা-আনোয়ার হোসেন, গ্রাম- দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়া, থানা- সখিপুর জেলা- টাঙ্গাইলকে সখিপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়া এলাকা হতে জিজ্ঞাসাবাদ পূর্বক ইং ২৮সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইল এর পুলিশ সুপার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয় টি নিশ্চিত করেন
ধৃত আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে। উপরোক্ত আসামীকে বিচারর্থে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।।