টাঙ্গাইল বটতলা চাঞ্চল্যকর বহুল আলোচিত আইনজীবী সহকারী খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ সিপিসি ৩
*র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ও র্যাব-০১, সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার চাঞ্চল্যকর আইনজীবীর সহকারী খাদিজা আক্তার (২৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদ (৩৫) ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন আমতলার মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার*।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প এবং র্যাব-১, সিপিএসসি এর যৌথ একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার চাঞ্চল্যকর খাদিজা আক্তার (২৩) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদ (৩৫), পিতা- আব্দুস সাত্তার, গ্রাম- নলখোলা, থানা- টাঙ্গাইল সদর, জেলা- টাঙ্গাইলকে ২৮/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০০:৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন আমতলার মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, টাঙ্গাইল সদর কোর্টের আইনজীবীর সহকারী ভিকটিম খাদিজা আক্তার (২৩), পিতা- মৃত নুরুল হক, সাং- দূর্গাপুর, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাঙ্গাইল ও উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদ (৩৫), পিতা- আব্দুস সাত্তার, গ্রাম- নলখোলা, থানা- টাঙ্গাইল সদর, জেলা- টাঙ্গাইল স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন বটতলা এলাকায় জনৈক হেলালুজ্জামান এর ০৬ তলা বিল্ডিং এর ৩য় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তাদের বিয়ের বিষয়টি ভিকটিম খাদিজা আক্তারের পরিবারের লোকজন হত্যাকান্ডের পর জানতে পারেন। গত ০৩/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ খাদিজা আক্তারের খোঁজ খবর না পেয়ে তার বড় বোন ও তার বোনের ছেলে উপরোক্ত বাসায় গিয়ে রুমের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তখন তারা বাসার মালিকসহ তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান যে, খাদিজা আক্তার খাটের উপর চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে, মুখের উপর বালিশ দেওয়া, ০১ পায়ে গোড়ালীতে উড়না দিয়ে পেঁচানো আরেকটি পায়ে গোড়ালীতে সোয়েটার দিয়ে পেঁচানো, যা খুলার পর দেখা যায় ০২ পায়ের গোড়ালীর পিছনের রগ কাটা। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম খাদিজা আক্তারের বড় ভাই ইমান হোসেন (২৫) বাদী হয়ে মোঃ রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানার মামলা নং- ১৫/৩২২, তারিখ- ০৪/০৯/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের করেন। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যপকভাবে প্রচারিত হলে এলাকায় বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠে, খাদিজার লাশ উদ্ধার এর পর থাকেই র্যাব-১৪ সিপিসি ৩ ছায়া তদন্ত শুরুকরে এবং আসামি গ্রেফতার তারে জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদ জানান যে, মুন্নি বেগম (৩০) নামে তার এক স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে যারা তার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। এছাড়া তার সাথে ভিকটিম খাদিজা আক্তারের সম্পর্কের কথা এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের বিষয় স্বীকার করেন। আসামি রাশেদুল হত্যার কথা স্বীকার না করলেও র্যাবের ধারণা হত্যাকাণ্ডটি আসামী রাশেদুলই ঘটিয়ে থাকবে। র্যাব জানায় আসামীকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।
বিজ্ঞাপন
উক্ত এজাহারনামীয় আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে টাঙ্গাইল সদর থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প এর কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জঙ্গিবাদ, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, প্রতারকচক্র, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।