এজ ছাত্রীর প্রেমের টানে ও ঘর বাঁধতে আরেক ছাত্রী টাঙ্গাইলে
বিশেষ প্রতিনিধি : এক মাদরাসা ছাত্রী প্রেমের টানে ও ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে টাঙ্গাইলে ছুঁটে এসেছেন কিশোরগঞ্জের আরেক মাদরাসা ছাত্রী। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গোপালপুর উপজেলায়।
গোপালপুরের দাখিল শ্রেণীতে পড়ুয়া আশা সিনহার প্রেমের টানে গোপালপুরে ছুঁটে এসেছেন কিশোরগঞ্জের আলিম শ্রেণীতে পড়ুয়া লিজা আক্তার।আশা সিনহা গোপালপুরের রামপুর চতিলা গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে আর লিজা আক্তার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর কামাল হোসেনের মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ১ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে গোপালপুরের আশা সিনহার সাথে কিশোরগঞ্জের লিজা আক্তারের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত আগস্টে আশা সিনহা কিশোরগঞ্জে লিজার বাড়িতে যায় এবং বান্ধবী পরিচয়ে একসাথে রাত্রিযাপন করে। এর ধারাবাহিকতায় লিজা গত ৩দিন আগে গোপালপুরে আসেন।
১৫০০টাকা মাসিক ভাড়ায় উভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাসা ভাড়ানিয়ে একসাথে বসবাস শুরু করেন। তাদের চলাফেরায় সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গত রোববার রাতে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন ও উভয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
বাসার মালিক আব্দুল বারী বলেন, চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে তারা ৩দিন আগে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। অসহায় ভেবে আমি রুম ভাড়া দেই। তাদের এমন অসম সম্পর্ক আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
বিজ্ঞাপন
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব জানান, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত। দুই ছাত্রীকে গত সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস আকবর খান জানান, গতকাল সোমবার ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের শেষে দুই ছাত্রীকে আদালতে পাঠায় গোপালপুর থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ছাত্রীর মধ্যে একজনের বয়স ১৮ এর উপরে ও একজনের নিচে। ১৮ বছরের উপরের আলিম শ্রেণীতে পড়ুয়া লিজা আক্তারকে গোপালপুর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস রুমি খাতুন জামিন দেন ও ১৮ বছর নিচের ছাত্রীকে নারী ও শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওইদিনই দাখিল শ্রেণীতে পড়ুয়া আশা সিনহাকেও জামিন দিয়েছেন নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান।