টাঙ্গাইলে প্রেম করে বিয়ে তারপর প্রতারণা করে তালাক এরপর সাবেক স্ত্রীকে শহরের পিডিপি ২ এর কোয়াটারে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ সেনা সদস্য মোঃ শাহীন আলম (২২),এর বিরুদ্ধে
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগরা ইউনিয়নের চরখিদির এলাকার বিজিবি সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সেনা সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে। প্রেম করে বিয়ে তারপর প্রতারণা করে তালাক এরপর শহরের কচুয়াডাঙা পিডিপি ২ এর স্টাফ কোয়াটারে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন একই এলাকার আবু হানিফ এর মেয়ে মোছাঃ নূরী জান্নাত (১৯)।
ভুক্তভোগী নুরী জান্নাত গত ২৭/ ০৬/২০২৪ ইং খ্রি: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা ইউনিট টাঙ্গাইল এর অস্থায়ী কার্যালয় হাউজিং এস্টেট সংলগ্ন পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এসে লিখিত ভাবে সেনা সদস্য শাহীন এর সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার বিবরন উল্লেখ করে সকল সাংবাদিকদের সত্য উদঘাটন করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাকে সহযোগিতাকরে পাশে থাকার অনুরোধ জানায়।
নুরী জান্নাতের লিখিত বিবরণে জানান
আমি মোছাঃ নূরী জান্নাত (১৯), পিতা- আবু হানিফ. সাং- চরখিদির, পোঃ- চৌধুরী মালঞ্চ, থানা- টাঙ্গাইল, জেলা- টাঙ্গাইল। আমি আপনাদের জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জেলা ইউনিট এর কার্যালয়ে হাজির হইয়া আমার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতারনা ও নির্যাতনের ঘটনার সবিস্তারে বিবরন জানাচ্ছি এবং সকল মিডিয়ার সাংবাদিক দের সহযোগিতা কামনা করছি। আমি লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ, টাঙ্গাইলের এইচ, এস, সি পরীক্ষার্থী। একই এলাকার (১) মোঃ শাহীন আলম (২২), পিতা- মোঃ জহিরুল ইসলাম, (বিজিবি সদস্য) সাং- চর খিদির দক্ষিন পাড়া, থানা ও জেলা- টাঙ্গাইল। আমি যখন নবম শ্রেনীতে পড়ি তখন স্কুলে যাওয়ার পথে আমাকে অনেক বিরক্ত করতো তার পর মগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমার মামা মোঃ জহিরুল ইসলাম মোঃ শাহিন আলমের বড় চাচা শহিদের কাছে বিচার দেয়। তারপর শাহিনের মা আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে শাহীনের সাথে যোগাযোগ রাখতে না করে তার কথা মতো যোগাযোগ বন্ধ রাখি। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুলে যাওয়ার পথে শাহিন আমার কাছে এসে বলে তুই আমার সাথে যোগাযোগ না রাখলে তোর বান্ধবীদের সামনে তোর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে তোর চেহারা নস্ট করে দিবো যাতে অন্য কোন ছেলে তোর দিকে না তাকায়। তারপর আমি ভয় পাই। এর পর যোগাযোগ রাখতে বাধ্য হই। যোগাযোগের এক পর্যায় একজন আরেক জনের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি। এক সময় শাহীন আমাকে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করে রাখবো, পরে বাড়িতে উঠাবো। শাহীনের কথায় রাজি হই। সেই মতে টাঙ্গাইল কোর্টে নিয়ে ২৫-০৩-২০২১ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার এডভোকেটের মাধ্যমে কোর্টে আমাকে নিয়ে গেলে বয়স বেশি দেখিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করায়। তারপর বলে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এখন আমাদের কেহ আটকিয়ে রাখতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
এভাবে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলতে ছিলাম এবং লুকিয়ে দেখা সাক্ষাত ও মেলামেশা করতাম। এমতাবস্থায় আমি শাহীনকে চাপ দেই আমাকে তার বাড়িতে নেয়ার জন্য। তখন সে কিছুদিনের সময় চেয়ে বলে আমার সেনাবাহিনীতে চাকুরী হচ্ছে। চাকুরী হলেই তোমাকে আমাদের বাড়িতে উঠাবো। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। আমি আছি, আমার প্রতি ভরসা রাখো। আমি তার কথা শুনে তার কথমতই চুপ থাকি। হঠাৎ একদিন সে আমাকে বলে, আমার চাকুরী মোটামুটি কনফার্ম। কিন্তু একটি সমস্যা, যদি কর্তৃপক্ষ জানে বা তদন্ত করে বের হয় আমি বিবাহিত তাহলে আমার চাকুরীটা হবে না। কাজেই আমাদের ডিভোর্স করতে হবে। আমি বিষয়টি বুঝি নাই। তখন সে আমাকে বলে এখন ডিভোর্স করে শুধু অবিবাহিত দেখিয়ে চাকুরীটা নেই। তুমি কি চাওনা আমার একটা সরকারী চাকুরী হোক। তার কথার মাধ্যমে নানা ভাবে আমাকে বুঝায়। সাথে এলাকার জাহাঙ্গীর (তিনি সরকারি চাকুরীজিবি) ও বলে ডিভোর্স দাও নয়লে সমস্যা হবে সর্বশেষে সরল মনে আমি সেটা মেনে নেই। কারণ চাকুরী হলেইতো আমরা স্বাধীন ভাবে এক সাথে থাকতে পারি। এই বুঝিয়ে আমাকে ডিভোর্সের কাগজে সই করায়। আমাদের ডিভোর্স হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, শাহীনকে পূর্ব থেকে এবং পরবর্তীতে বর্তমান পর্যন্ত প্রত্যেক প্রতারনার কাজে তাকে সহযোগিতা করেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, পিতা- মৃত হযরত আলী। তিনি একটি সরকারি অফিসে কর্মরত। সেই প্রভাবে তিনি শাহীন এবং তাদের পরিবারকে শেল্টার দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। চাকুরির সুবাদে এলাকায় অনেক সম্পদের মালিক হওয়ায় এলাকায় প্রভাব খাটায় এবং মাতাব্বরি করে, সে আমাদের ডিভোর্সের সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে, ডিভোর্স না দিলে তোর অসুবিধা হবে। আমি আয়কর অফিসের বড় কর্মকর্তা। আমার কথায় সব চলে। তোদের কে আছে? তোদের আমার কথামত চলতে হবে না হলে বিপদে পড়বি। আমি কিন্তু সহজ সরল, শাহীনের মিথ্যা আশ্বাসে জাহাঙ্গীর কথা বিশ্বাস করি সেই সুযোগে প্রতারনার মাধ্যমে আমাদের ডিভোর্স হয়। এর কিছুদিন পর শাহীনের সেনাবাহিনীতে চাকুরী হয়। ১৯-১২-২০২২ ইং তারিখে যোগদান করে। ০৩-০২-২০২৩ ইং তারিখে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট গাজীপুর মৌলিক প্রশিক্ষনের নির্দেশ প্রদান করা হয়। মূল নিয়োগ পত্রটি লেঃ কর্নেল এটিএম জাহিদ হোসেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত। প্রশিক্ষণ সেন্টারে যোগদানের তাং ০৩-০২-২০২৩ ইং। যার কোড নং ১৪৩৫০০, নিয়োগপত্র নং TEC/ 244564/2019 তারপর প্রশিক্ষন চলাকালিন সময় শাহীনের প্রশিক্ষক যার নাম নয়ন হাসান। নয়ন মোবাইল নম্বর- ০১৭৩৯২৭৫৬৪০, এই নম্বরে শাহীনের ০১ টি বাটন ফোন কেনার জন্য আমি আমাদের বাড়ির ০১৩০২৮৫৭৪৪৯ এই নম্বর হতে শাহীনের প্রশিক্ষক নয়ন স্যারে বিকাশে ২,৪০০/- (দুই হাজার চারশত টাকা) পাঠাই। ঐ টাকা দিয়ে সে একটি মুঠোফোন কেনে। পরবর্তীতে সেই ফোন দিয়ে আমার সাথে শাহীন যোগাযোগ করতো।
বিজ্ঞাপন
ট্রেনিং শেষে চট্টগ্রামে পোস্টিং হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঈদের ছুটিতে ১২-০৬-২০২৪ রাত ৪টার সময় বাড়ি আসে। ১৩-০৬-২০২৪ তারিখ সকালে আমাকে ফোন দিয়ে বলে বিয়ে করবে, তুমি বাড়িতে কিছু জানাইও না। টাঙ্গাইল ডি সি লেকে আসো, তারপর আমি টাঙ্গাইল ডি সি লেকে যাই। তখন সকাল ১০.৪৫ মিনিটে ০১৯৩২০২৮৬২৭ এই নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দেয়। বলে তুমি থাকো, তোমার শ্বাশুড়ী মাকে নিয়ে এলেঙ্গা আছি, অটোতে উঠিয়ে দিয়ে আসতেছি। পরবর্তীতে শাহীন আমাকে বলে একটা বাসায় যাইতে, আমি বলি আমি কোথাও যাইতে পারবো না। আমি বসে রইলাম, তুমি তাড়াতাড়ি আসো। অনুমান ৩০ মিনিট পরে আসে। এসে আমাকে শাহীনের বাইকে উঠায় এবং দুরে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমি বলি আমি চিনি না। আর এত দুর আমি যাবো না। তখন আমাকে বলে যে, আমি তোমাকে বিয়ে করবো। তোমার কিসের ভয়। দুরের কথা শুনে আমি ভিতরে ভিতরে ভয় পাই যে, কোথাও নিয়ে আমার কোনো ক্ষতি করবে নাতো , তাই আমি কোন ভাবেই রাজি হই না। তখন বলে তাহলে কোথায় যাবো। আমি বলি, আশে পাশেই পরিচিত কারোও বাড়ি যাইতে পারি। তখন আমাকে বলে তোমার কেহ পরিচিত আছে কি না। তখন বলি কচুয়াডাঙ্গা পিডিবি পাওয়ার হাউজের ভিতর আমার এক আপুর বাসা আছে। সেখানে যেতে পারি, সে বলে ঠিক আছে চলো সেই বাসাতেই যাই। সেই মতে আমাকে মটর বাইকে শহরের কচুয়াডাঙ্গা পার হাউজের ( পিডিবি) ভিতর সেই আপুর বাসায় নিয়ে যায় আপু এবং তার ছোট মেয়ে ছিলো, তাদের সামনেই আমরা একটি কক্ষে বসি। তখন আপু আমাদের রুমে বসিয়ে রেখে আপ্যায়নের ব্যবস্থার জন্য মেয়েকে নিয়ে অন্যরুমে রান্নার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।সেই সুযোগে শাহীন দরজা আটকিয়ে দিয়ে জোর করে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করে এবং শারিরীক সম্পর্ক করতে চায় । আমি বাধা দেই আগে বিয়ে করতে বলি বাধাদেয়ার এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন যায়গায় স্পর্শ করে ও জোর করে আমার সাথে খারাপ কাজ করা শুরু করে। এমতাবস্থায় আমি চিৎকার দিলে রান্না ঘর থেকে আমার আপুসহ আশেপাশের লোকজন ছুটে আসছে টের পেয়ে শাহীন বাসার পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালায়। পালানের সময় তার ধাক্কায় বাসার দরজা ও ফ্রিজ সরে যায়। তার পেছন পেছন আমিও দৌড়ে যাই। তখন শাহীন আমার সাথে কথা না বলে বাইক রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে আপু আমাদের বাড়িতে ফোন দেয়। পরে আমার দাদা আলি আজগর আসেন আমাকে নিতে। এর মধ্য সেই কর কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর এর সহয়তায় এই এলাকার কিছু ছেলেদের ম্যনেজ করে বাইক নিয়ে যায়, তারপর শাহীনের নানা শরিফুল (আয়নাপুর বাজারে মুদির দোকান) আমার মোঃ আনোয়ার কাকাকে ফোন দিয়ে বলে, তোমরা বিষয়টি গোপন রেখে বাড়ি এসে পর আর শাহীনের চাকুরী নিতে টাকা লাগছে, অর্ধেক ব্যবস্থা করো, আমরা বাড়িতে বসে বিয়ে করিয়ে দেবো। পরবর্তীতে আমরা কচুয়া ডাঙ্গা পরহাউজ এলাকা হতে আয়নাপুর শাহীনের চাচা শরিফুলের মুদি দোকানে যাই। সেখানে ঐ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন এবং তার শিখিয়ে দেয়া বুলি মোতাবেক শরিফুল চাচা বলে আপনারা বাড়িতে যান। শাহীনের বড় চাচা শহীদকে নিয়ে ০১ ঘন্টা পরে আপনাদের বাড়িতে আসতেছি। তার কথায় আশ্বাস পেয়ে আমরা বাড়ি চলে যাই। পরবর্তীতে তারা আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করে নাই। এখানে আরো উল্লেখ যে শাহীননের বাবাও একজন সরকারি চাকুরী করে (বিজিবি) যে কারনে সেও তার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
শাহীনের বাবা জহিরুল ইসলাম ও তথ্য গোপন করে চাকুরী নিয়ে সরকারের সাথে প্রতারণা করে শাহীন ও তথ্য গোপন করে চাকুরী নিয়েছে শাহীনের বাবা জহিরুল ইসলাম তিনি বিয়ে করেন ৯০ দশকে পুর্বে বিয়ের ৩ থেকে ৪ বছর পর শাহীনের জন্ম হয় শাহীনের জন্মের ৪ থেকে ৬ বছর পর শাহীনের বাবা বিজিবি তত কালিনীন বিডিআর এ চাকুরী নেয়। বিয়ে এবং সন্তানের তথ্য গোপন করে সরকারের সাথে প্রতারণা করে চাকুরী নেয়। শাহীন ও বিয়ে করেছিলো মিথ্যে বলে প্রতারণার মাধ্যমে ডিভোর্স দেয় সেইসব তথ্য গোপন করে চাকুরী নিয়ে সরকারের সাথে প্রতারণা করে আমি এসব কথা বলতাম না যদি আমার সাথে বার বার প্রতারণা ও ক্ষতি না করত। আমার সাথে যাহা যাহা ঘটেছে তাহার অনেক প্রমান আমার কাছে রয়েছে।
এ বিষয় টাঙ্গাইল মডেল থানায় ১৩ জুন ২০২৪ইং তারিখের ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি মামলাটি তদন্তের ভার রয়েছে এস আই নজরুল ইসলামে উপর কিন্তু তিনি শুরু থেকেই আমাকে সহযোগিতার কোনো চেষ্টাও করছে না বরং আমাকে উলটা পালটা কথা বলে আসছে শাহীনের বাবা একজন বিজিবি সদস্য শাহীনও সেনাবাহিনীর সদস্য তাদের অর্থবিত্ত যেমন রয়েছে তেমনি রয়েয়ে প্রভাব এবং এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের সাথেও রয়েছে সখ্যতা কাজেই অর্থবিত্ত ও প্রভাব খাটিয়ে সব জায়গা মেনেজ করছে আমরা ন্যায়বিচারের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি থানা থেকে আমাদের ডাকছেও না বরং আমাকে উলটো ধমক দিচ্ছে যে, তুমিই ওই শাহীনকে নিয়ে গিয়েছ। একজন মেয়ে একজন ছেকেকে কখনো জোরে কোথাও নিয়ে যেতে পারেনা তাও আবার ছেলে যদি সেনাবাহিনীর সদস্য হয়। তাদের এহেন আচরনে আমি হতাশ হয়ে যাই আমি অসহায় গরিব বলেই কি এমন হচ্ছে, তদন্তে ধীরগতি সহ পুলিশের আচরনে বার বার হতাশ হচ্ছি এবং আস্থা হারাচ্ছি তাই সাংবাদিক ভাইদের কাছে এসেছি আপনারা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সত্য উদঘাটন করে প্রকাশ করুন, থানায় সহযোগিতা না পেলে আমরা বিজ্ঞ আদালতে যাব। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেনা প্রধান,বিজিবি প্রধান,মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সকলকে অবগত করবো যাতে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে। আমি যেন ন্যায়বিচার পাই অপরাধীরা শাস্তি পায়, আশাকরি যথাযথ কর্তৃপক্ষ আমার পাশে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
আমি একজন গরীব অবলা নারী, মা বাবা থেকেও নেই। মা আমাকে কোলে রেখে চলে যায়। বাবাও ঠিক মতো খবর নেয় না। আমি দাদার কাছে মানুষ। অনেক কস্ট করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি। শাহীন আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে বার বার আমার সাথে প্রতারনা করেছে এবং করে আসছে। আমার সাথে প্রতারনার মাধ্যমে জোর জবর দস্তি করে আবারো ক্ষতি করে। আমি এর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার চাই। এই কাজে শাহীনকে যারা সহযোগিতা করে আমার ক্ষতি করছে তাদেরও বিচার চাই। আমার সাথে ঘটে যাওয়া উল্লেখিত ঘটনা সত্যতা যাচাই করে তথ্যের ভিত্তিতে পুরো সত্য ঘটনা আপনাদের সুনাম ধন্য পত্র পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে আমার পাশে থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবেন, যাতে আমি ন্যায় বিচার পাই। অপরাধীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।
বিজ্ঞাপন
নুরীর লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে ২৯/০৬/২০২৪ খ্রী: টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন কচুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২ এর স্টাফ কোয়ার্টারে বিদ্যুৎ আদালত বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম ছরোয়ার সাহেবের বাসা ঘটনা স্থলে গেলে মো. গোলাম ছরয়ার সাহের তার স্ত্রী কে আমাদার সাথে কথা না বলতে দেয়ার একটি কৌশল করে জানায় আমার স্ত্রী অসুস্থ। অসুস্থ থাকায় সরোয়র সাহেব বলেন আমি আমার স্ত্রীর কাছথেকে সব শুনেছি তার হয়ে আমিই বলছি, তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান গত ১৩/ ০৬/২০২৪ তারিখ নুরী আক্তারের সাথে একটি ছেলে আমাদের বাড়ি স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে এসেছিল আমি বাসায় ছিলাম না আমার গিন্নি ছিলেন নুরীর এক বোন আমাদের বাসায় থেকে প্রায় ১০ বছর আগে আউলিয়া মাদ্রাসায় পরিক্ষা দিয়েছে,সেই সুবাদে তাদের সাথে পরিচয়, ছেলেটার নাম হয়তো শাহীন আমি শুনেছি তারা দুজন স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে এসে বাসার একটি কক্ষে বসে আমার গিন্নি ছোট মেয়েটাকে নিয়ে রান্না ঘরে চলে যায় এদের জন্য নাস্তা বা আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করতে এমত অবস্থায় ঐ কক্ষে নুরী এবং শাহীনের মধ্য কি হয়েছে বাহির থেকে আমার স্ত্রী কিছু বুঝতে পারেনি তবে এটুকু আজ করেছে যে ভিতরে কিছু একটা হয়েছে এর মধ্য শাহীন নামের ছেলেটা বাসার পেছনের দরজা দিয়ে দৌরে বেরিয়ে যায় পেছন পেছন নুরী ও বেড়িয়ে যায় পরে শুনেছি বাহিরে থাকা শাহীনের মোটরসাইকেল টি বাহিরের কিছু লোকজনের মাধ্যমে নিয়ে গিয়েছে।এই টুকুই আমার স্ত্রীর কাছথেকে জেনেছি। তবে ছরোয়ার সাহেব কৌশলে স্ত্রী ভিষণ অসুস্থতার কথা বলে তার স্ত্রীকে আমাদের প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে দেয় নি তবে এ কথা স্বীকার করেন নুরী এবং শাহীন দুজন স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে এসেছিল।
বিজ্ঞাপন
চর খিদির দক্ষিন পাড়া মগরা সদর উপজেলা টাঙ্গাইল শাহীন আলমের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে শাহীন আলম এবং তার বাবা মো.জহিরুল ইসলামকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি চাকরির সুবাদে দুজনেই স্ব স্ব কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন তবে শাহীনের মা এ-র সাথে দেখা হলেও শাহীন নুরীর বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হয়নি। এছাড়াও এ বিষয় কিছুই বলতে রাজি হয়নি। তবে কথার এক ফাকে জানায় আমার বিয়ে হয়েছে ১৯৯৯ সালে বিয়ের ২থকে ৩ বছর পর আমার ছেল শাহীন হয় আমার স্বামির চাকুরী হয় ছেলে শাহীনের বয়স ৩থেকে ৪ বছর পর, ছেলের বয়স কমদেখিয়ে ২ ক্লাস আপ করে এস এস সি পরিক্ষা দেয়াই পাশকারার পর শাহীনের চাকুরী হয়।
আয়নাপুর বাজার বনিক সমিতির সহাপতি সরিফুল ইসলাম জানায় ছেলে মেয়ে উভয়ে আমার আত্মীয় , নুরী এবং শাহীন আলমের প্রেমের সম্পর্কে জানতেন বিয়ে হয়েছিল সেটাও শুনেছে ডিভোর্স এর বিষয়ে জানান মগরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের ছোট ভাই কামাল এ-র উপস্থিতিতে এলাকার কয়েক জন গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ নিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ডিভোর্স হয়।তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। ১৩জুন ২০২৪ খী: কচুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে শাহীন আলম নুরী জান্নাতকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি সেখানে ছিলাম না তবে শাহীনের আত্মীয় আমাকে ফোন করে জানায় নুরী শাহীনের নামে মামলা করছে তখন নুরীর দাদাকে এলাকার সার্থে জানাই মামলা করিয়না বাড়িতে আসো বিষয়টা শুনে এলাকায় বসে মিমাংসা করেদেবো। তবে ঐ দিনই নুরী এবং নুরীর দাদা তার কাছে এসেছিলো কিনা? তিনি তাদের বুঝিয়ে বাড়ি যেতে বলেছেন ১ ঘন্টার মধ্যে শাহীনের অভিবাবক নিয়ে নুরীদের বাড়ি গিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেব এছাড়া ও শাহীনের চাকুরী নিতে ১৬ লক্ষ টাকা লেগেছে অর্ধেক টাকা নুরীর দাদাকে জোগার করতে বলেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি জানান সবি মিথ্য নুরীর দাদা এবং নুরী আমার সাথে দেখাই করেনি।
বিজ্ঞাপন
নুরী জান্নাতের উল্লেখিত ভ্যাট কর্মকর্তা শাহীনের আত্মীয় জাহাঙ্গীর সাহেবের সাথে মুঠোফোনে ১৩জুলাই ০২৪ খ্রী যোগাযোগ করাহলে তিনি জানান ১৩ জুন কচুয়াডাঙ্গা পিডিবি পার হাউজের স্টাফ কোয়ার্টারে এরা দুজন গিয়েছিল শুনেছি, পরে নুরী জান্নাত টাঙ্গাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন পুলিশ তদন্তে এসেছিল আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম তদন্তে আসা পুলিশদের বলেছি কেহ যেন ভিক্টিম না হয় যেটা সত্য আপনারা সেটাই করবেন। তবে শাহীন বা শাহীনের পরিবারের পক্ষে শেল্টার দেয়ার বিষয়ে জানান শাহীন আমার রক্তের আত্মীয় তার পাশে থাকাটাই সাভাবিক তবে অন্যায় কোনো কাজের পরামর্শ কাহকেই দেইনা আমি চাই সত্য উদঘাটন হোক। শাহীন এবং নুরী জান্নাত এর বিয়ের আমি জানিনা তবে ডিভোর্স এর সময়ে সদর উপজেলার মগরাইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান মৃত আজাহার ভাইএর ছোট ভাই কামাল সাহেব উপস্থিত থেকে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ডিভোর্স কার্য সম্পুর্ন হয়। আমি নুরী জান্নাত বা তাদের পরিবারের সাথে কখনো ধমকের সুরে বা হুমকির সুরে কথা বলিনি, তারা যদি আমার নামে কিছু বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলেছে।
শাহীনের বাবা মো.জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় ঘটনা সত্যি নয় ১৩জুন কি হয়েছে জানিনা, আর আমার ছেলে কবে বিয়েকরেছিলো কবে ডিভোর্স দিয়েছে তাও জানিনা না মাতাব্বরা হয়তো যানে আমি বাড়ি ছিলাম না এর বেশি কিছুই বলতে পারব না।
শাহীনের সাথে ০১৯৩২০২৮৬২৭ নম্বরে কয়েকবার চেষ্টা করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নুরী আক্তারের লিখিত অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব টাঙ্গাইল সদর থানার এস আই নজরুল ইসলাম পান, মুঠোফোনে এস আই নজরুল ইসলাম জানান নুরী জান্নাত শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তদন্তের দায়িত্ব পাই আমি তদন্ত করে ধর্ষণের চেষ্টা এরকম কিছু পাইনি তবে তারা দুজন পি ডিবি ২ কচুয়া ডাঙ্গার স্টাফ কোয়ার্টারে গোলাম সরোয়ার এর বাসায় গিয়ে ছিলো গোলাম সরোয়ার এর স্ত্রী জানিয়েছে এখানে ধর্ষণের চেষ্টার মত কোনো কিছু হয়নি। আর তাদের পুর্বে বিয়ে হয়েছিলো কিনা বা পরে ডিভোর্স হয়েছে কিনা, তারা দু’জন সাবেক স্বামী স্ত্রী কিনা, সে বিষয় লিখিত অভিযোগে কিছু যানায়নি বিধায় আমি বলতে পারবনা। তবে বিয়ে বিষয় বা অন্য কিছু থকলে তারা নারী শিশু আদালতে যাক।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী সহায়তার জন্য দ্বারেদ্বারে যাচ্ছে।