টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর কৌতক পরিচালক মোতালেব হত্যার অন্যতম আসামি র্যাবের হাতে গ্রেফতার
গত ১৪ আগষ্ট রাত অনুমান ১০:৩০ ঘটিকায়ব টাঙ্গাইলের কৌতুক পরিচালক খুন হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :ভিকটিম মৃত মোতালেব হোসেন (৪৫) পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি পরিচালক হিসাবে বিভিন্ন নাট্য শিল্পী দ্বারা নাটক ও কৌতুক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে থাকেন। ভিকটিমের বাড়ি হতে ০২ কিঃ মিঃ দূরত্বে পার্শ্ববর্তী গ্রাম কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত তার নামীয় বাড়িতে গত ০৪ বছর যাবত তিনি শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আরো উল্লেখ্য যে, এজাহারনামীয় আসামি ১। কামাল হোসেন (৩৮), পিতা-কোহিনুর, ২। আনিছ আলী (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, ৩। শরিফুল ইসলাম শান্ত (৪০), পিতা-মৃত শরবত আলী, সর্ব সাং-কোনাবাড়ি, ৪। ইয়াসিন আলী (৪০), পিতা-ফালু মিয়া, সাং- দুইরাবাড়ি, থানা-সদর, জেলা-টাঙ্গাইল সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন আসামী ভিকটিমকে এইসব কৌতুক ভিডিও তৈরি করতে নিষেধ করলে ভিকটিম এর সাথে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। এমতাবস্থায়, গত ১৪/৮/২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম মৃত মোতালেব হোসেন শুটিং করার উদ্দেশ্যে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি হতে রওনা হন।
বিজ্ঞাপন
অতঃপর একই তারিখ রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদিনী লোক মারফত সংবাদ পান যে, টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন কোনাবাড়ী সাকিনস্থ কৃষ্ণপুর নতুনপাড়া গামী রাস্তার উপর বাদিনীর স্বামী মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে আছেন। পরে বাদিনী উক্ত স্থানে গিয়ে ভিকটিমকে গুরুত্বর জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শহরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে উক্ত মামলার ০২নং আসামী মোঃ আনিছ আলী (৫০) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৯/০৮/২০২৪ খ্রিঃ. বিকাল ১৬.২০ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন ধরের বাড়ি বাজার এলাকা হতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০২নং আসামী মোঃ আনিছ আলী (৫০)কে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
আসামি টাঙ্গাইল সদর থানাধীন কোনাবাড়ীএলাকার মৃত সাহেব আলীরবছেলে।
উক্ত এজাহারনামীয় আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে টাঙ্গাইল সদর থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প। কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সহকারি পুলিশ সুপার এএসপি মোঃ আব্দুল বাছেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিন জানান র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মতো চাঞ্চল্যকর অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।ভবিষ্যতে র্যাবের এধরণের অভিযান চলমান থাকবে,উল্লেখিত হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।