টাঙ্গাইলে নুরুল হকের ওপর হামলার ৩ বছর পর মামলা, জেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক সহ আসামি ৩৪
কালের বার্তা অনলাইন ডেক্স : ২০২১ সালের ১৭ অগাস্ট মাওলানা ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকীতে টাঙ্গাইলে ভাসানী মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়।
বিজ্ঞাপন
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর তিন বছর আগের সেই হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করেন। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলা আসামিদের তালিকায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক , সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়াও মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-সাবেক এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, ছানোয়ার হোসেন ও খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রনি আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলার নেতারা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চের কাছে পৌঁছানোর পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে নুরুল হকের ওপর হামলা করেন। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা জীবন নিয়ে ফিরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।’