টাঙ্গাইলে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলা করার পর আতঙ্কে বাদি ও স্বাক্ষী
সবুজ সরকার : বাসাইলে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদি হয়ে উপজেরার বয়ড়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. হাসেম মিয়াকে আসামী করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন আসামী পক্ষের লোকজনেরা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধুকে তার প্রতিবেশি হাসেম মিয়া বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি গৃহবধু তার স্বামীকে জানালে এর প্রতিবাদ করায় হাসেম আরও উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওই গৃহবধুর দুই ছেলে ঢাকায় বসবাস করার সুবাধে সুযোগ সন্ধানে থাকে সে। গত ১৬ আগস্ট গৃহবধুর স্বামী বের হওয়ার পর হাসেম গৃহবধুর ঘরে ঢুকে পেছন দিক থেকে জরিয়ে ধরে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় বাচাঁর জন্য ডাক-চিৎকারে করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী গৃহবধুর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। প্রতিবেশিরা আহত অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর গৃহবধু বাদি হয়ে হাসেম মিয়াকে আসামী করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলালে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
ওই গৃহবধু ও তার স্বামী বলেন, মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছি। আমরা গরীব, অসহায় হওয়ায় আসামির স্বজনরা আমাদের নানারকম হুমকি-ধামকি ও চাপ দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। স্বাক্ষীদেরকেও নানা ভয় দেখানো হচ্ছে। মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে আমাদের এবং স্বাক্ষীদের নামে আদালতে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। সুযোগ পেলেই আমাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে মীমাংশার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাসাইল থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু থানায়ও মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রউফ মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আসামী পক্ষ পরবর্তীতে আমাদের কাছে আর আসেনি।
থানায় মামলা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা থানায় মামলা করতে আসেননি।