টাঙ্গাইলের বক্সখাটের নিচ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কালের বার্তা অনলাইন ডেক্স : টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে মুনিয়া ইসলাম (৩২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ বক্সখাটের নিচথেকে উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ভূঞাপুর পৌর শহরের ঘাটান্দি গ্রামের গণেশ মোড় নামক এলাকায় জহুরুল ইসলামের পাঁচ তলার বাসার তিন তলায় একটি ভাড়া বাসার বক্সখাটের নিচথেকে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুনিয়া পাশ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার নলিন বাজারের নুরল ইসলামের মেয়ে এবং তার স্বামী মোস্তাক আহমেদ একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। তাদের দাম্পত্য জীবনে আল মাসুদ (১০) এবং নবীন (৪) বছরের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা গণেশ মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। এ ঘটনায় মুনিয়ার প্রবাস ফেরত স্বমী মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তাক আহমেদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবাস থেকে একেবারে দেশে ফিরেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। দুই ছেলের একজন তার খালার বাসায় ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক রুমে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে অন্য রুমে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যায় মোস্তাক শুক্রবার ভোরে বাসার মুল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে মোস্তাক। সকালে ছেলেটা ঘুম থেকে উঠে ডাকচিৎকার করলেও আশপাশের কেউ কোন ভাড়াটিয়ারা বিষ্যটি বুঝতে পারেনি কেহ বা ইচ্ছেকরেই সারা দেয়নি । পরে বাসার কেয়ারটেকার বাসার দরজা খুলে দেয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে,বাসার দরজা খোলারপর কেয়ার টেকার সহ আশপাশের কতিপয় ব্যাক্তি ও স্বজনরা মুনিয়া ইসলামের খোঁজ না পেয়ে বাসার বিভিন্ন রুমে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ছোট ছেলের বক্সখাটের নিচে দেখতে বলে। পরে বক্সখাটের পাতাটন খুলে মুনিয়ার মরদেহ দেখতে পায়। স্বজনদের ধারণা, মোস্তাক তার স্ত্রী মুনিয়া ইসলামকে গলা টিপে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
বিজ্ঞাপন
মুনিয়া ইসলামের ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। পরে বড় বোন নাসরিন আক্তার কয়েকদিন আগে দুইজনকে বুঝিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছিল। এরপর আর কিছু জানি না। সন্ধ্যায় খবর পেলাম বোনের মরদেহ বাসার বক্সখাটের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওর স্বামী মোস্তাক পালিয়েছে। বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ বক্সখাটের নিচে রেখে পালিয়েছে ঘাতক মোস্তাক। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলেই সব রহস্য উদঘাটন হবে আমি তার শাস্তি চাই।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । মুনিয়া ইসলামের স্বামী মোস্তাক আহমেদ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে