টাঙ্গাইলে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ
- প্রকাশিত : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
- ৩০৫ বার পঠিত
টাঙ্গাইলে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা উত্তরপাড়া এলাকায়। এই এলাকার খাদেম মিয়ার ছেলে হায়েজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে রাহিদুল ইসলাম রাহিদ রানা নামের এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
রাহিদুল ইসলাম রাহিদ রানা দৈনিক আজকের বসুন্ধরা ও ভোরের বাংলা পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত. মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার (৪ নভেম্বর) হুমকির ঘটনাটি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক রাহিদুল ইসলাম রাহিদ রানা তার নিজ বাসা বিশ্বাস বেতকা মুন্সিপাড়া মসজিদ সংলগ্ন সাগরের চা-এর দোকানের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হায়েজ উদ্দিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাহিদ রানাকে মারার উদ্দেশ্য তার বাড়িতে খুঁজতে যান। সাংবাদিকের বাড়িতে হায়েজ উদ্দিনের খুঁজতে যাওয়ার প্রমান সি সি ক্যামেরার ফুটেজ আছে। পরে রাহিদ রানাকে বাসায় না পেয়ে সাগরের চায়ের দোকানের সামনে এসে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করাসহ হত্যার হুমকি দেন হায়েজ উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিক রাহিদুল ইসলাম রাহিদ রানা বলেন,আমি ও আমার এক বন্ধু বিক্রি করার উদ্দেশ্যে একটা জমি ক্রয় করেছি। জমিটি বিক্রি করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করছি। ক্রেতারা আমার সাথে কথা বলার জন্য আসলে সেই ক্রেতাদের অভিযুক্ত ব্যক্তি নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। ক্রেতাদের এই ধরণের ভয়ভীতি না দেখানোর জন্য আমি তাকে অনুরোধ করায় তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তাকে তার চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দিলে তিনি আমাকে জমিতে যেতে দিবেনা বলেও ভয়ভীতি দেখান। আমি কোন কুল কিনারা না পেয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিজ্ঞাপন
হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হায়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ওরা বাসার সামনে রাহিদ রানার কথা ওর ভাই জাহিদকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। এছাড়া কোন কথা হয়নি। বাসার সামনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখার কারণে সেখানে আমার ফুটেজ থাকতে পারে। জমি কেনা বেচা নিয়েও আমাদের কোন বিরোধ নেই বা হুমকিও দেইনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ইবনে রাজিব জানান, অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
