টাঙ্গাইল ৫ আসনে ৩য় বারের মত সাপ্তাহিক মৌবাজার পরিবারের সদস্য এমপি নির্বাচিত হাওয়ায় পরিবারের পক্ষথেকে শুভেচছা ও অভিনন্দন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল ৫ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি টানা ৩য় বারে জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচিত হওয়ায় মৌবাজার পরিবারের পক্ষথেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পরিবারের অন্যতম সদস্য সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো: তাইজুল ইসলাম (টুটুল)।
বিজ্ঞাপন
৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার দলীয় প্রতীকের বাহিরে জনপ্রিয়তার পরিক্ষায় সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক এ জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়। ৮ জানুয়ারী টাঙ্গাইল ৫ আসনের সংসদ সদস্য মৌবাজার পরিবারের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেনের এর তৃনমুল ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন কে পরিবারের পক্ষথেকে ফুলেল শুভেচছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় বিভিন্ন সংগঠন, সানোয়ার ভক্ত বিভিন্ন নেতা কর্মীরা ও উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন নেতা কর্মী ভক্ত দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিজ্ঞাপন
যে ভাবে মৌবাজার পরিবারের সদস্য :সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকা টি চারণ কবি বিশিষ্ট ছড়াকার এম এ ছাত্তার উকিল প্রতিষ্ঠা করেন পত্রিকা টি প্রথম প্রকাশ শুরু হয় ১৯৯১ সালের ১৬ নভেম্বর। সেই ধারাবাহিকতায় আজ অবদি প্রকাশিত হচ্ছে। এখনে মুল বিষয়টি সকলের অজানা ইতিহাস জানা প্রয়োজন এম এ ছাত্তার উকিল ছাত্র জীবন থেকেই কনিতা লিখতেন এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য সম্পাদক দের কাছে যেতেন এরপর ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে সাংবাদিকতা শুরুকরেন মওলানা ভাসানী সাহেবের প্রতিষ্ঠিত একটি পত্রিকায় সেখানে তার ছড়া কবিতা প্রকাশিত হতো ৮০ দশকে দৈনিক পত্রিকা নামে একটি পত্রিয় জেলা প্রতিনিধি এরপর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন ভর্তি হন ঢাকা সেন্ট্রাল ‘ল’ কলেজে পাশাপাশি ব্যাবসা শুরু করেন। এর পর পরিচয় হয় টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আনুল হোসেনের সাথে। তাদের সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ট হয়ে হয় তখন আবুল হোসেন সাহেব ছাত্তার উকিল কে তামাকের ব্যবসায় নিয়ে আসে। সেই থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় পাচআনি বাজারে পাশাপাশি একটি দোকান নিয়ে দিয়ে তার কাছাকাছি রাখেন সেখানেই ছাত্তার উকিল তামাকের ব্যবসা শুরা করেন পাশাপাশি ‘ল’ পড়া চালিয়ে যায় এর মধ্য চলার জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন। ১৯৮২ সালে ‘ল’ শেষ হলে পুরোপুরি আইন পেশায় চলে আসেন এম এ ছাত্তার উকিল। আইন পেশায় থাকলেও হাজি আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ থাকে প্রতিদিন কোর্ট শেষে সন্ধ্যায় ঠিক পাচানী বাজার চলে আসতেন প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে পেতে পরামর্শ নিতে।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি সাংবাদিকতা ছড়া কবিতা লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপানো কবি সাহিত্যিকদের সাথে আড্ডা কবিতার আসর নতুন লেখক তৈরি করা এটা ছিলো তার নেশা।
মৌবাজার পত্রিকার পৃষ্ঠপ্রশক ছিলেন আলহাজ্ব আবুল হোসেন সাহেব। তিনিই বিভিন্ন সময় এম এ ছাত্তার উকিল সাহেবকে উৎসাহিত করেছে একটি পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি বলতেন নিজের কবিতা ছড়া ছাপানোর জন্য কেনো অন্য পত্রিকার সম্পাদক দের কাছে যাবেন আপনি একটি পত্রিকা বের করেন এতে সহযোগিতা সাপোর্ট যা লাগে আমি করব আমি চাই আপনি একটি পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত হোক আপনার ছড়া কবিতার পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মানুষের সুখদুঃখ ও হাশি কান্না ও সাফল্যের সংবাদ তুলে ধরুন। তখনি এম এ ছাত্তার উকিল একটি নিজের একটি পত্রিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় একটি পত্রিকা প্রকাশের জন্য আনেক কাগজ পত্র তৈরি করতে হয় ব্যাংক এস্টেটম্যান ব্যাংকে আর্থিক সফলতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি সহ আনেক কাগজ পত্র জমা দিতে হয় ডিসি অফিসে সব কাগজ পত্র জমা দিলেও ব্যাংকে টাকার সবটা দিয়েই সহযোগিতা করেছিলেন হাজি আবুল হোসেন যদিও পরবর্তীতে সেই টাকা দিয়েদেয়া হয়েছে তবুও সেই সময় এই সহযোগিতা সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার জন্মকে সহজ করে। ১৯৯১ সালের ১৬ ই নভেম্বর টাঙ্গাইলের বুকে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। তখন পত্রিকা ছাপানোও ছিলো আনেক কঠিন কাজ ঢাকার পত্রিকা টাঙ্গাইল আসত ১ – ২ দিন পর। সে সময় টাঙ্গাইল নিউমার্কেটে হিরক প্রিন্টং প্রেস থেকে ছাপানো হতো প্রকাশ ও সম্পাদক এম এ ছাত্তার উকিল থাকলেও সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন আলহাজ্ব আবুল হোসেন। আবুল হোসেন মারা যাওয়ার পর মৌবাজার পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি করাহ হয় সেই থেকে আজ পর্যন্ত তিনি এই মৌবাজার পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেই আছেন। পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক চারণ কবি প্রবীণ সাংবাদিক এম এ ছাত্তার উকিল গত ৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ ইন্তেকাল করেন এর পর থেকে পত্রিকা টি পরিচালনা করছে চারণ কবির এক মাত্র ছেলে মো: তাইজুল ইসলাম ( টুটুল)।
বিজ্ঞাপন
সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার জন্ম যারা দিয়ে ছিলেন তার আজ কেহই এই দুনিয়াতে নেই কিন্তু পত্রিকা টি আযো আছে থাকবে দুই পরিবারের বন্ধন।