টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে
অবৈধ বানিজ্যিক ভবন নির্মানের লাগাতার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে অবৈধভাবে ব্যাক্তিগত ও বেসরকারী একটি বানিজ্যিক ভবন নির্মানের লাগাতার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হচ্ছে। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারন মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করছে। প্রতিবাদ কারীরা জন সার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শুভদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে এ কর্মসুচি পালন করা হয়। তারা অবিলম্বে অবৈধ বানিজ্যিক ভবন অপসারণের দাবি জানান। তা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচির ডাক দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। বুধবার ও প্রতিবাদ মানববন্ধন করেছে এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রতিবাদ চলছে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান অভিযোগ করেন, হাসপাতালের প্রবেশমুখে এ ধরনের একটি বানিজ্যিক ভবন নির্মানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। সম্পুর্ন অবৈধভাবে এ ভবনটি নির্মান করা হচ্ছে। যা রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত করবে। এ ভবন নির্মানের ফলে হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তাটি চিরতরে সংকুচিত হয়ে যাবে। ফলে রোগী ও তার স্বজনদের যাতায়াত এমনকি হাসপাতালে কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রনেও সমস্যা হবে। এছাড়াও বানিজ্যিক এ ভবনটি দালালদের আখরায় পরিনত হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গতঃ হাসপাতাল চত্বরে একটি বানিজ্যিক ভবন নির্মানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি। সেখানে একতলা ভবন নির্মাণ করছেন বরাদ্দ প্রাপ্ত এক ব্যবসায়ী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিতে সম্মতি না দিলেও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরাগে কের বুঝে আসার আগেই রাতারাতি ভবন নির্মানের কাজ শুরুকরে তখন স্থানীয় এবং হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারন মানুষ এর প্রতিবাদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধহয়। পরবর্তী কিছুদিন পর পুনরায় কাজ শুরুহলে আবারও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাঁধা উপেক্ষা করে কমিটির সদস্যরা গত ১৩ নভেম্বর সভায় আবেদনকারী শিলা আনসারীর নামে ৭৫০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের চুক্তিপত্রে দেখা যায়, বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে নিতে বলা হয়েছে। ১২ বছর মেয়াদী এই বরাদ্দ চুক্তিতে মাসিক ভাড়া ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
তিন বছর পর পর ১০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। প্রাপ্ত ভাড়া থেকে ১০ শতাংশ মসজিদের উন্নয়নে, ৩০ শতাংশ রোগীকল্যাণ সমিতি, ২০ শতাংশ কর্মচারী সমিতি এবং ৪০ শতাংশ হাসপাতালের উন্নয়নে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপপরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব আসে। তখন তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া বিধিসম্মত হবে না। পরে ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমতি ছাড়াই বরাদ্দ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেন, সভায় রেজ্যুলেশন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি। বরাদ্দ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন লাগে না। আগেও ক্যান্টিন ও গ্যারেজের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।