পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসা শিক্ষকে হত্যাকরে মাটি চাপা দেয়া মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে, মানববন্ধন।
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেক নিয়ে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হক মাস্টারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্য আসামীদের বাড়ির উঠানে মাটিচাপা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষাভ-মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সামবার (১৯ ফব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদশ জমিয়াতুল মাদার্রছীন ভুঞাপুর উপজলা শাখার উদ্যােগে উপজলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) মাধ্যমে জলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এরআগে ভুয়াপুর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষাভ ও মিছিলে করে শিক্ষক ও সহকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তৃতা কালে বক্তারা বলন- ঠান্ডা মাথায় ‘পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক আব্দুল হক মাস্টারকে হত্যা করা হয়ছে। নৃশংস এই হত্যার ঘটনাটি ভিন্যখাতে নওয়ার জন্য একটি মহল পায়তারা করছে। আমরা আমাদের সহকর্মী শিক্ষক আব্দুল হক মাস্টার হত্যার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাছি।’
বিজ্ঞাপন
উপজেলা মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফসার আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম, শিক্ষক আব্দুস ছােবহান, আব্দুর রউফ তালুকদার, নূরুল হুদা, আতিকুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নূরুনবী, মাহবুব আলম, মাজহারুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
গত ১৫ ফব্রুয়ারি উপজলার সারপলশিয়া গ্রামের দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হক মাস্টার নিখাঁজ হন। ওই দিন রাতে কানাে এক সময় আসামি জাহানারা ওরফ জয়নব বেগম ও তার স্বামীসহ কয়েকজন মিলে সুপরিকল্পিত ভাবে শিক্ষক আব্দুল হককে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আসামি জাহানারার নিজ বাড়ির ঘরের সামনে উঠানে বালুচাপা দিয় রাখে।
বিজ্ঞাপন
এরপর ১৬ ফব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে জাহানারার বাড়ি বালুর নিচ থেক ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইরাতে শিক্ষকেকর স্ত্রী আয়শা খাতুন বাদী হয়ে জাহানারা ওরফে জয়নব বেগম, তার স্বামী আব্দুল বারেক, প্রতিবশি ছবুর ও জাকিরকে আসামী করে একটি মামলা করেন।
লাশ উদ্ধের পর ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল হক মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন। পরে শুক্রবার বিকালে তার স্ত্রী সন্দেভাজন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ওই এলাকার জাহানারা বেগমের বাড়ির উঠানে পুতে রাখা অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল হক মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ।ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ।
রাতে শিক্ষকের স্ত্রী আয়শা খাতুন বাদী হয়ে ভুয়াপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।