ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই
অনলাইন ডেক্স : দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালীন সময় একাধিকবার মোবাইল ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। এতে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন বিপাকে পরে ফিনান্সিয়ল কাজসহ ব্যাহত সকল ইন্টারনেট সেবা, আর্থিক ক্ষতিমুখে পরে লক্ষ লক্ষ মানুষ।এতে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন সেই সাথে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং এ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ের ডাক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
দাখিলকৃত ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ১৬ জুলাই ২০২৪ সময় কালে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ই জুলাই ২০২৪ হইতে ২৩ শে জুলাই ২০২৪ ও ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়া টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পূর্ণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে গত ১৭ জুলাই ২০২৪ থেকে ২৮ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত এবং পাঁচই আগস্ট ২০২৪ তারিখে নেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন হয়। এখানে উল্লেখ্য যে প্রাথমিক জানা যায় যে, উল্লেখিত সময়ে আগুন লাগার সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোন সম্পর্ক ছিল না। ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জাতির সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে ।