হঠাৎই সবর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হঠাৎ করেই সরব হয়ে উঠেছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)এর প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা। শুধু নেতাকর্মীরাই নন, দলের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও যাচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) এর সখীপুরের অসুস্থ নেতাকর্মীসহ নিচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় নেতৃবৃন্দ এই সরব ভূমিকা বলে দাবি করলেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বপরিবারে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী’র দেখা হওয়ার পরই সখীপুরে সরব হয়ে উঠেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নেতাকর্মীদের কার্যক্রম বলে স্থানীয় মহলে চলছে নানা ধরণের আলোচনা সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের এই ভূমিকা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সখীপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ও প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দলের উপদেষ্ঠা অসুস্থ আব্দুল হামিদ খান নয়া মুন্সীর বাসভবনে যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ দলীয় তোকর্মীরা।কৃষক শ্রমিক জনতালীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবদুল হালিম সরকার বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মী আগে থেকেই সরব ছিল। ইতোপূর্বেও তারা নানা ধরণের সভা-সমাবেশ করেছে। আজ সখীপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ও প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দলের উপদেষ্ঠা বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ আব্দুল হামিদ খান নয়া মুন্সীর বাসভবনে যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ দলের নেতাকর্মীরা।
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্বপরিবারে সাক্ষাতের পরই দলীয় নেতাকর্মীর এই সবর ভূমিকা কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তো আওয়ামী পরিবারেরই। শুধু ভিন্ন দল গঠণ করেছি, এরপরও বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। তবে প্রধানমন্ত্রী আর বঙ্গবীরের দেখা করার বিষয়ে এই মুহুর্তে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। সময় হলেই সব জানা যাবে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত শিকদার জানান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বেশ উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জোটে অন্ত্মর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, প্রধানমন্ত্রীর সাথে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাক্ষাত নিয়ে এমনটাই ধারণা করছেন তারা।
আরিফ উর রহমান টগর