লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা র্যাবের হাতে গ্রেফতার।
লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মো: হাফিজুর রহমান (৪৫) গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিকে ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাটাইল থানার মামলা নং-৫, তারিখঃ ১৪/০২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমল আইন, ২০১২ এর ৬/৭/৮/১০ ধারা তৎসহ পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারার এজাহার নামীয় ১ নং আাসমী লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ হাফিজুর রহমান (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার নিকট হতে বিভিন্ন ব্যক্তির ৮টি পাসপোর্ট, ২টি চেক বই, ১টি ডেবিট কার্ড ও নগদ ১০,১৬০/- টাকা উদ্ধার করে।
গ্রেফতার কৃতআসামি মো: হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন পোড়াবাড়ি(নাগবাড়) এলাকার আঃ ছাত্তার মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, গত ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ হাফিজুর রহমান তার নিজ গ্রামের লিটন নামক এক ব্যক্তিকে ভাল বেতন ও থাকা-খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় প্রেরণ করে। লিবিয়ায় প্রেরণের পর সেখানে থাকা মোঃ হাফিজুর রহমানের সহযোগী অজ্ঞাতনামা কয়েক জন লোক লিটনকে আটকে রেখে মারধোর করে তাকে দিয়ে তার বাবাকে ফোন করে বলায় যে, সে লিবিয়া পৌচেছে এবং ভাল আছে; সে তার বাবাকে বলে যে, মোঃ হাফিজুর রহমানকে ৩,২৫,০০০/- টাকা দিয়ে দিতে। তখন ভিকটিম লিটনের বাবা মোঃ হাফিজুর রহমানকে ৩,২৫,০০০/- টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ইমো নাম্বার থেকে বাদীকে ফোন করে তার পুত্র লিটনকে লিবিয়ায় আটক রেখে বেধরক মারধোরের ভিডিও দেখায় ও তার মুক্তিপণ বাবদ ১৩,০০,০০০/- (তেরো লক্ষ) টাকা দাবি করে অন্যথায় তার পুত্রকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনায় লিটনের পিতা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানার মামলা নং-৫, তারিখঃ ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমল আইন, ২০১২ এর ৬/৭/৮/১০ ধারা তৎসহ পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
উক্ত মামলায় উপরোক্ত আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মোঃ হাফিজুর রহমান প্রথমে তার এক সহযোগী শফিক এর নিকট এবং শফিক অপর এক সহযোগী শাকিলের মাধ্যমে লিটনকে লিবিয়ায় প্রেরণ করে সেখানে আটক রেখে মারধোর করে মুক্তিপন দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, চোরাকারবারী এবং মানব পাচারকারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেই
ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।