সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই… কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, করোনা ভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে তার জন্য বাববার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রনালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে নানা দুর্যোগের মধ্যেও আমরা বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের ধারা শুধু অব্যাহত নয়, তা আরো বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। সে ব্যবস্থা পাকিস্তানি শাসকেরা করে গিয়েছিলো। অবকাঠামোগত ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই জাতির অমূল্য সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিলো। সে রকম একটি ভঙ্গুর অবস্থা থেকে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রসারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপকহারে ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষাখাতে এই বিশাল বিনিয়োগ দেশকে কাঙ্খিত সময়ের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহŸান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশে-যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত। সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তরুণেরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায়, প্রায়োগিক ও সময়োপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সিআরপি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ভেলেরি অ্যান টেইলর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ২ জন শিক্ষার্থী ও ভাইস চ্যান্সেলর পদক পাচ্ছেন ৩ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৪৩৩ জন বিএসসি (অনার্স), মাস্টার্সের শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থী সনদ নেন।