টাঙ্গাইল চাঞ্চল্যকর কহিনুর আলী (৫৫) হত্যা মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্য এজাহাভুক্ত ২ আসামী র্যাবের হাতে গ্রেফতার
টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার চাঞ্চল্যকর কহিনুর আলী (৫৫) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী বায়োজিত (বাজে)কে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন মমিনপুর এলাকা হতে এবং ববিনকে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন পলিটেকনিক এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকশ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলায় ঘাটাইল থানার চাঞ্চল্যকর কহিনুর আলী হত্যা মামলা এর এজাহারনামীয় ০২নং আসামী বায়োজিত (বাজে) ৬০, কে অদ্য ১০ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন মমিনপুর এলাকা হতে এবং এজাহারনামীয় ৩নং আসামী ববিন হায়দার চৌধুরী (৫০), কে ১০মার্চ২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন পলিটেকনিক এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
কহিনুর আলী (৫৫) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামী টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন উত্তর ধলাপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে, এজাহারভুক্ত ৩ নং আসামী একই এলাকার বজলুল হায়দার চৌধুরী এর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০/২৫ বছর যাবত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত আসামীগণসহ অপর একজন আসামী মিলে উক্ত ঘটনায় নিহত কহিনুর আলমকে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন উত্তর ধলাপাড়া এলাকায় গত ০৮ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ বিকাল অনুমান ০৪:০৫ ঘটিকার সময় মারধোর করে গুরুতর আহত করিলে তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। উক্ত ঘটনায় নিহত কহিনুর আলমের ছেলে বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা ঘাটাইল থানার মামলা নং-০৭, তারিখ- ১০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০। এছাড়াও উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
উক্ত এজাহার নামীয় আসামীদের সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করাহয়েছে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।কোম্পানী অধিনায়কসিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জঙ্গিবাদ, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, প্রতারকচক্র, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। পরবর্তীতে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।