জয় যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা এক প্রতারণা মামলায় আওয়ামিলীগ থেকে বহিস্কৃত নারী উদ্যোগক্তা হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত জরিমানা অনাদেয়ে অতিরিক্ত দুই মাস করে কারা ভোগ করতে হবে ।
বিজ্ঞাপন
২০ মার্চ সোমবার ২০২৩ খি: ঢাকা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ( সি এম এম)ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন জয় যাত্রা টিভির জি,এম হাজেরা বেগম, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ,কো- অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষনার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও জয় যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ মার্চ সোমবার দিন ধার্য করেন।
বেতন না দিয়ে উল্টো চাঁদা নেয়ার অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ২ আগষ্ট রাতে ঢাকার পল্লবী থানায়ায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণা মামলা করেন। মামলায় জয় যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী আব্দুর রহমান তুহিন অভিযোগ করেন জয় যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আব্দুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন চেয়ারম্যান হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে কাজ কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে উল্টো তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা চাঁদা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সি আই ডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।