সখীপুরে ট্রান্সফরমার চোর ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার দিবেন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশে হর হামেশা চুরিহচ্ছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার টাঙ্গাইলের সখীপুরও এর বাহিরে নয় চুরি প্রতিরোধে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় বিদুৎ বিভাগ।ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে আর চোর ধরে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সখীপুর পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর তালুকদার। গত ১০দিনে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ১৭টি ফিডারের আওতাধীন ৬টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে ভোগান্তি পোহয় বিদ্যুতের গ্রাহকরা। ধারাবাহিক এ চুরির ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। চুরির ঘটনায় সখীপুর ও মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করাসহ চুরি ঠেকাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলা থেকে এ উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী ৮টি উপজেলার আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ১৭টি ফিডারের আওতায় এ কার্যক্রম চলে। মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গাইড়াবেতীল রবি টাওয়ার এলাকা থেকে ১৮ মার্চ ২টি, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের লাঙ্গুলিয়া শিকদার বাড়ী এলাকা থেকে ১৯ মার্চ ১টি, ২২ মার্চ গজারিয়া ইউনিয়নের পাথরপুর বাঘবেড় এলাকা থেকে ১টি ও একই ইউনিয়নের পাথরপুর চৌরাস্ত থেকে ১টি এবং মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের মোথারচালা এলাকা থেকে ২৫ মার্চ রাতে ১টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। আরও ৪টি ট্রান্সফরমার চুরির উদ্দেশ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও নিতে পারেনি, সেগুলো বিদ্যুৎ অফিসে আনা হয়েছে। ট্রান্সফরমার চুরি ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ অফিসের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওইসব ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ২টি এবং সখীপুর থানায় ১টি মামলা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, মধ্যে রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার স্বাভাবিক ঘটনা মনে করেন তারা। কিন্তু পরে সকালে শুনতে পান ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এ কারণে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের আওতাধীন প্রায় ৯’শ পরিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ৫টি ট্রান্সফরমার সংযোগ দেওয়া হলেও উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পাথারপুর চৌরাস্তার ট্রান্সফরমারটি এখনও সংযোগ দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক হোসেন বলেন, রাতে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। পরের দিন সকালে বিদ্যুৎ অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর দুই দিন পর বিদ্যুৎ অফিস আমাদের ট্রান্সফরমার সংযোগ দিয়েছে। ট্রান্সফরমারের জন্য কোন টাকা লাগেনি, শুধু সংযোগ দেওয়ার সময় লেবারদের খরচ দেয়া হয়েছে।বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরফমার চুরি করেছে তারা সমাজ, দেশ ও জাতির শত্রু। এদের প্রতিহত করতে যার যার অবস্থান থেকে সর্তক থাকতে হবে। চুরির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সখীপুর পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর তালুকদার জানান, আমি গত ২০ মার্চ কর্মস্থলে যোগদান করেছি। আমি ও আমার সহকারী প্রকৌশলী চুরির ঘটনাস্থল গুলোতে গিয়েছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাইনি। এ কারণে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে পারিনি। গ্রাহকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক মালামাল চুরির ঘটনায় বিদ্যুতায়ন আইনে থানায় অজ্ঞাত নামে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, চোর ধরিয়ে দিতে পারলে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাকে ১০হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছি।এছাড়া ঝর বৃষ্টি বা কোনো কারন ছাড়া মধ্যেরাতের পর যেকোনো সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে ট্রান্সফরমার এর আশপাশে যারা রয়েছেন তারা একটু সচেতন হয়ে ট্রান্সফরমার এর খুটি একটু চেক দিবেন সতর্কতারসহিত এটা দেশ ও দশের সম্পদ রক্ষার সার্থে নীজ দায়িত্ব থেকেই করবেন তাহলেই চোর সনাক্ত করা যাবে।