টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী ০১ জন গাজিপুর জেলার শ্রীপুরে থানাধীন বাঁশ বাড়ি গ্রামস্থ আকন্দ বাড়ী হতে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
১৫মে/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ০৫.১০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজিপুর জেলার শ্রীপুরে থানাধীন বাঁশ বাড়ি গ্রামস্থ আকন্দ বাড়ী গ্রামস্থ বহুল আলোচিত ইসমাইল হোসেনহত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেন।
আসামী মোঃ আজজিুল হক মোল্লা(৪৫) টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানাধীন দেওয়ানপুর এলাকার মৃত নতু মোল্লার ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার মামলা নং-০৮/৪১, তারিখ-১৫/০৫/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবত জমি, সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কালোমেঘা সিন্ধুরিয়া গ্রামে ইসমাইল হোসেন এবং আজিজুল হক মোল্লা ও তোফাজ্জল হোসেন মোল্লাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় ১৪/০৫/২৩ সকাল ০৭ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানাধীন কালোমেঘা সিন্ধুরিয়া গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। আজিজুল হক মোল্লা এবং তোফাজ্জল হক মোল্লা দলবল সহ ইসমাইল হোসেন সহ তাদের আত্বীয়স্বজনদের উপর অতর্কিত আক্রমন করেন। উক্ত ঘটনায় ইসমাইল হোসেনকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করেন। এতে ইসমাইল হোসেন এবং মোস্তফা ওরফে ধুলু গুরুতর আহত হয়। তাদের অবস্থা আশংখাজনক হলে তাদেরকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ইসমাইল হোসেনকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন ।আর অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
বিজ্ঞাপন
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানায় হস্থান্তর প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। র্যাব প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই জঙ্গি ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা,ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।র্যাবের এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।